মাসিক আল-ইতিছাম pdf download - কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা, Al itesam book pdf |
একটু পড়ুন:
ইসলামের মহানুভবতা ও পশ্চিমা ধর্মনিরপেক্ষতা ১৬ আগস্ট ২০২০ রবিবারে বাংলাদেশের সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দিয়ে ধর্মনিরপেক্ষতা লেখা চালু করার দাবিতে একটি লিগ্যাল নোটিশ পাঠান বাংলাদেশ মাইনোরিটি সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অশোক কুমার ঘোষ। ২০১৬ সালে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহাল থাকার বিষয়টি আদালত রায় দেওয়ার পর একটি মীমাংসিত বিষয় নিয়ে আবারও লিগ্যাল নোটিশ করায় ক্ষোভে ফুঁসে উঠে দেশের জনগণ। তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। অবশ্য পরবর্তীতে নোটিশটি প্রত্যাহার করা হয়: ১৯ আগস্ট বুধবার নোটিশকারী এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান। ইংরেজি Secularism শব্দটির বাংলা অনুবাদ দেখানো হয় 'ধর্মনিরপেক্ষতা', যা একটি সামগ্রিক ধোঁকা। কারণ শব্দটির প্রকৃত অর্থ হচ্ছে ধর্মহীনতা, ধর্মের সাথে সম্পর্কহীনতা, বস্তুবাদিতা বা পার্থিবতা। এ সকল অর্থ এ মতবাদের খোদ উৎপত্তিস্থল ইউরোপেই কিছু নির্ভরযোগ্য বইয়ে করা হয়েছে। কিন্তু বস্তাপচা এ মতবাদটিকে সহজে জনগণকে গলাধঃকরণ করানোর হীন উদ্দেশ্যে প্রকৃত এ অর্থ তাদের থেকে আড়াল করে ধর্মনিরপেক্ষতা অর্থটা দেখানো হয়ে থাকে।
আরবী ভাষাভাষীরাও এজাতীয় ধোঁকা থেকে রেহাই পায়নি। এ ভ্রান্ত ও কুফরী মতবাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, ইসলাম ও ইসলামী শিক্ষার বিরুদ্ধে হিংসা-বিদ্বেষ পোষণ। ইসলামী দণ্ডবিধি, ইবাদত-বন্দেগী, লেনদেন ও আচার-আচরণ এ মতবাদের চক্ষুশূল। পার্থিব স্বার্থ হাছিল ও প্রবৃত্তির অনুসরণ এর মূল লক্ষ্য। রাষ্ট্র থেকে ধর্মকে আলাদা করা এর শ্লোগান। এ মতবাদের ধ্বজাধারীরা দ্বীনদার লোকদেরকে রক্ষণশীল, প্রগতির অন্তরায় ও পশ্চাৎগামী বলে নিন্দা করে। নিঃসন্দেহে এসব বস্তুবাদীরা মুসলিম উম্মাহর জন্য প্রথম যুগের মুনাফিকদের থেকেও বেশি বিপজ্জনক: বরং পথভ্রষ্ট যে কোনো দল অপেক্ষা তারা অধিক ক্ষতিকারক' ('আল- আলমানিয়াহ ওয়া ছিমারহাল খবীছাহ, পৃ. ৩)। এ মতবাদের দু'টি রূপ: (১) সরাসরি নাস্তিকতা।
এ প্রকার ধর্মনিরপেক্ষবাদীদের বিষয়টি মুসলিমদের নিকট স্পষ্ট। ফলে এ রূপটি জনসাধারণের নিকট কম বিপজ্জনক। (২) পরোক্ষ নাস্তিকতা। এর ধ্বজাধারীরা সরাসরি নাস্তিকতা প্রকাশ করে না। তবে দুনিয়াবী কোনো বিষয়ে দ্বীনের কর্তৃত্ব মানে না। জনগণকে ধোঁকায় ফেলার ক্ষেত্রে এ প্রকার ধর্মনিরপেক্ষতা অপেক্ষাকৃত বেশি বিপজ্জনক। উভয় প্রকার ধর্মনিরপেক্ষতা স্পষ্ট কুফরী। পবিত্র কুরআনে ইসলামের কিছু বিধান গ্রহণ করে কিছু বিধান পরিত্যাগ করাকে কুফরী গণ্য করা হয়েছে (আল-বাক্বারাহ, ২/৮৫)। তাছাড়া ইসলামে নিশ্চিতভাবে প্রমাণিত কোনো বিষয় যে প্রত্যাখ্যান করে, সে কাফের ও পথভ্রষ্ট যদিও তার প্রত্যাখ্যাত বিষয়ের পরিমাণ খুব কম ও সামান্য হয়। তদুপরি ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীদের মধ্যে ইসলাম থেকে বহির্ভূত হওয়ার আরো কারণ রয়েছে।
তারা নবী এর আদর্শের চেয়ে অন্য আদর্শকে এবং তাঁর ফায়ছালার চেয়ে অন্য ফায়ছালাকে উত্তম মনে করে ('আল- আলমানিয়্যাহ', পৃ. ১৫-১৯)। ১৭০০ শতাব্দীতে ইউরোপে জন্ম নেওয়া এ ধর্মনিরপেক্ষতার ভয়ংকর কিছু দিক হচ্ছে- (১) এর মাধ্যমে তারা ইসলাম ও এর বিধিবিধানকে অবজ্ঞা করে। (২) এর ধ্বজাধারীরা ইসলামী ইতিহাসের বিকৃতি ঘটায় এবং সেখানে নানা মিথ্যার অনুপ্রবেশ ঘটায়। তারা ইসলামী সভ্যতাকে বিকৃতভাবে পেশ করে। (৩) এরা দ্বীনী শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে সেখানে তাদের মতবাদপুষ্ট শিক্ষাব্যবস্থা চালু করে। আর এ লক্ষ্যে তারা যা করে। আরও...
আগে একটু পড়ার সুযোগ থাকলে ভালো হতো
ReplyDelete